ইরানের ওপর থেকে আজ রোববার সকালে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিভাবে উঠে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আজ ভোর রাতে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞা থাকায় ২০১৫ সাল থেকে ইরান অন্য কোন দেশ থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতেও পারেনি এবং বিক্রিও করতে পারেনি। খবর পার্সটুডে, সিনহুয়া ও আলজাজিরার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ (১৮ অক্টোবর) থেকে ইরান কোনো আইনগত বাধা ছাড়াই যেকোনো দেশের কাছ থেকে নিজের প্রয়োজন মতো অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে এবং যেকোনো দেশের কাছে বিক্রি করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ব সমাজের জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজ ইরানের পরমাণু সমঝোতা ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব রক্ষা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবে স্পষ্ট বলা হয়েছে, '২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর ইরানের ওপর থেকে স্বয়ংক্রিয় ও নিশ্চিতভাবে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ঘটা করে কোনো ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।'
আজ সকালে এক টুইটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ‘অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ফলে বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার পথে বিশ্ব আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।’
আমেরিকাসহ ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ২০১৫ সালে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা ও নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী আজ রোববার তেহরান সময় ভোররাত সাড়ে ৩টায় এবং বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ইরানের ওপর থেকে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ওই বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে ইরানবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।